বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

প্রিয় তুমি পর্ব ১

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান PRINCE FAHAD (০ পয়েন্ট)

X লেখক রনি,,,, সকালের এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় রাজের।এলার্মটা বন্ধ করতেই চোখ গেলো সোফায় পরে থাকা তিথীর শাড়ির উপর।আশেপাশে কোথাও তিথীকে দেখতে পেল না।ধরফরিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেল সে। প্রচন্ড রকম নিজের উপর রাগ হচ্ছে তার। কেনো যে এভাবে ঘুমিয়ে পড়ল।এখন যদি তিথী পালিয়ে যায় বা বাইরে বেড়িয়ে সবাইকে কাল রাতের সবটা বলে দেয়। শিট.... অনেক বড়ো ভুল হয়ে গেছে। ব্যালকনির দরজা খোলা দেখে এগিয়ে গেলো সে। ব্যালকনিতে এসে দেখল রকিং চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে তিথী। সকালের শুভ্র আলো তার মুখে এসে পড়ছে। প্রভাতের মৃদু আলোয় তিথীকে দেখতে পুরো অপ্সরী মনে হচ্ছে। চোখের নিচে জলের দাগ এখনো মুছে যায়নি।তার ঘন কালো চুল গুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। উত্তলিত ঠোঁট জোড়া যেনো গোলাপের পাপড়ি।বাম গালের উপর ছোট একটা তিল যেন তার সৌন্দর্য হাজার গুন বাড়িয়ে তুলেছে। মনে হচ্ছে সকালের শিশির জলে ভিজে থাকা কোন শিউলি ফুল।রাজ ধীরে ধীরে তিথীর দিকে এগিয়ে গেল। গালে কারো স্পর্শে তিথীর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলে আসেপাশে কাউকে দেখতে পেল না সে।আড়মোড়া ভেঙে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল সে।দোতালায় বারান্দা থেকে বাসার সামনের বাগান পুরোপুরি দেখা যায়।বাগানের পুরো জায়গা জুড়ে গোলাপ,কামিনী, শিউলি গাদা,নয়নতারা,কাঠ গোলাপ সহ অসংখ্য নাম না জানা ফুলের গাছ। বাগানটি দেখে মন প্রশান্তিতে ভরে উঠল তার। রাতেই ঘটনা মনে হতেই অজানা কারনে ঘৃণায় মন বিষিয়ে উঠে৷ ব্যালকনি থেকে ঘরে প্রবেশ করল সে,ঘরের ভিতর রাজকে দেখতে না পেয়ে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল সে। যাক বাবা আপদটা তাহলে ঘরে নেই বাচা গেলো। কি বললে! এই তুমি কোন আপদের কথা বলছো। তোমার সাহসতো কম নয় এই রাজকে তুমি আপদ বলো।পিছন থেকে আচমকা সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো রাজ। তিথীর ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল।যেখানে বাঘের ভয়,সেখানেই সন্ধ্যা হয়।কি ভুলে যে এই কথাটি বলে ফেলল তিথী।এখন তো এই বাঘটা ওকে আস্ত চিবিয়ে খাবে।আল্লাহ প্লিজ এই যাএায় বাঁচায় দেও।জীবনে আর কোনো কিছু বলার কথা কল্পনাও করবোনা। আসলে আমি.... আমি বলছিলাম.... যে... হ্যা, তুমি কি যেনো বলছো!আমি আপদ তাই না। এবার তোমাকে দেখাবো আপদ কাকে বলে! ধীরে ধীরে তিথীর দিকে এগিয়ে এলো রাজ।দেয়ালের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে তিথী।রাজের প্রতিটা নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারছে সে।রাজ আলতো করে তিথীর গালে ঠোঁট ছুয়ে দিল।শিউরে উঠল তিথী।হঠাৎ এক ঝটকায় তিথীর থেকে নিজেকে সরিয়ে আনল রাজ।রাজের এমন ব্যাবহারে অবাক তিথী। রাজ দ্রুত গতিতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। রাজ চলে যাবার পর তিথী বাথরুমে গেল ফ্রেশ হতে। আয়নার দিকে চোক যেতেই দেখল লজ্জায় তার গাল দুটো লাল হয়ে আছে। তিথী বুঝতে পারছেনা তার হটাৎ এতো লজ্জা পাচ্ছে কেন!সে কি তবে রাজকে... ইম্পসিবল। সে কখনো রাজকে ভালবাসতে পারে না।তার মতো হিংস্র মানুষ পশুর চাইতে নিকৃষ্ট। কিন্তু তার একটু আগের ছোয়াতে কোন হিংস্রতা ছিলনা।এক মুহুর্তের জন্য মনে হলো সে জেনো সেই অতীতে ফিরে গিয়েছিল। তারাতাড়ি বাথরুম থেকে বেরাতেই দেখতে পেল বিছানার উপর একটা কালো সাড় সকালের এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় রাজের।এলার্মটা বন্ধ করতেই চোখ গেলো সোফায় পরে থাকা তিথীর শাড়ির উপর।আশেপাশে কোথাও তিথীকে দেখতে হ পেল না।ধরফরিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেল সে। প্রচন্ড রকম নিজের উপর রাগ হচ্ছে তার। কেনো যে এভাবে ঘুমিয়ে পড়ল।এখন যদি তিথী পালিয়ে যায় বা বাইরে বেড়িয়ে সবাইকে কাল রাতের সবটা বলে দেয়। শিট.... অনেক বড়ো ভুল হয়ে গেছে। ব্যালকনির দরজা খোলা দেখে এগিয়ে গেলো সে। ব্যালকনিতে এসে দেখল রকিং চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে তিথী। সকালের শুভ্র আলো তার মুখে এসে পড়ছে। প্রভাতের মৃদু আলোয় তিথীকে দেখতে পুরো অপ্সরী মনে হচ্ছে। চোখের নিচে জলের দাগ এখনো মুছে যায়নি।তার ঘন কালো চুল গুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। উত্তলিত ঠোঁট জোড়া যেনো গোলাপের পাপড়ি।বাম গালের উপর ছোট একটা তিল যেন তার সৌন্দর্য হাজার গুন বাড়িয়ে তুলেছে। মনে হচ্ছে সকালের শিশির জলে ভিজে থাকা কোন শিউলি ফুল।রাজ ধীরে ধীরে তিথীর দিকে এগিয়ে গেল। গালে কারো স্পর্শে তিথীর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলে আসেপাশে কাউকে দেখতে পেল না সে।আড়মোড়া ভেঙে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল সে।দোতালায় বারান্দা থেকে বাসার সামনের বাগান দেখা যায়।বাগানের পুরো জায়গা জুড়ে গোলাপ,কামিনী, শিউলি গাধা,নয়নতারা সহ অসংখ্য নাম না জানা ফুলের গাছ। বাগানটি দেখে মন প্রশান্তিতে ভরে উঠে। রাতেই ঘটনা মনে হতেই অজানা কারনে ঘৃণায় মন বিষিয়ে উঠে৷ ব্যালকনি থেকে ঘরে প্রবেশ করল সে,ঘরের ভিতর রাজকে দেখতে না পেয়ে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল সে। যাক বাবা আপদটা তাহলে ঘরে নেই বাচা গেলো। কি বললে! এই তুমি কোন আপদের কথা বলছো। তোমার সাহসতো কম নয় এই রাজকে তুমি আপন বলো।পিছন থেকে আচমকা সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো রাজ। তিথীর ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল।যেখানে বাঘের ভয়,সেখানেই সন্ধ্যা হয়।কি ভুলে যে এই কথাটি বলে ফেলল তিথী।এখন তো এই বাঘটা ওকে আস্ত চিবিয়ে খাবে।আল্লাহ প্লিজ এই যাএায় বাঁচায় দেও।জীবনে আর কোনো কিছু বলার কথা কল্পনাও করবোনা। আসলে আমি.... আমি বলছিলাম.... যে... হ্যা, তুমি কি যেনো বলছো!আমি আপদ তাই না। এবার তোমাকে দেখাবো আপদ কাকে বলে! ধীরে ধীরে তিথীর দিকে এগিয়ে এলো রাজ।দেয়ালের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে তিথী।রাজের প্রতিটা নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারছে সে।রাজ আলতো করে তিথীর গালে ঠোঁট ছুয়ে দিল।শিউরে উঠল তিথী।হঠাৎ এক ঝটকায় তিথীর থেকে নিজেকে সরিয়ে আনল রাজ।রাজের এমন ব্যাবহারে অবাক তিথী। রাজ দ্রুত গতিতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। রাজ চলে যাবার পর তিথী বাথরুমে ফ্রেশ হতে চলে গেল। আয়নায় তাকিয়ে দেখল গাল দুটো ভীষণ লাল হয়ে গেছে তার। তিথী বুঝতে পারছেনা হঠাৎ তার কি হলো যে এতো লজ্জা লাগছে।তবে কি সে রাজকে... না না এটা অসম্ভব। রাজের মতো একটা পাষন্ড অমানুষকে সে কখনো আপন ভাবতে পারে না। তবে একটা মুহূর্তের জন্য মনে হলো সে যেনো সেই অতীতে ফিরে গিয়েছিল। সেই মানুষটি মনে হয় তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল।কিন্তু এটা তার কল্পনা মাএ।সেই সুখের অতীত কি কখনো ফিরবে। না সে বরাবরের মতো হারিয়ে গেছে। তার হয়তো মনে নেই এই তিথীর কথা। বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখে বিছানার উপর একটি কালো শাড়ি রয়েছে,সাথে মেচিং ব্লাউজ,হালকা গহনা।সাথে একটা চিরকুট। মায়াপরী এই শাড়িটা পরে নিও।তুমি কি জানো কালো শাড়িতে তোমাকে অনেক বেশি মায়াবী লাগে।চোখে কিন্ত কাজল পরবে।আর শোনো চুলগুলো ছেড়ে রেখো।তোমার মেঘ কালো চুলের মায়ায় পাগল আমি। ইতি তোমার প্রিয় চিঠিটা পরে রাগে গজগজ করতে লাগলো তিথী।হুহ আমার ঠেকা পড়েছে আপনার মতো পাষন্ডের দেয়া শাড়ি পরতে।আমি লাগলে কোন শাড়ি পরবোনা।তবুও আপনার পছন্দের কোন জিনিস ছুয়ে দেখবোনা। তিথী একটা নীল পেড়ে গোলাপি রঙের শাড়ি পরে নিল,সাথে হালকা সাজ।চুল গুলো খোপা গুজে,মাথায় ঘোমটা টেনে নিচে নেমে এলো সে।রান্না ঘরে গিয়ে দেখল কাজের মাসি নাস্তা রেডি করছে। খালা আমাকে দাও আমি নাস্তা বানাচ্ছি। কি বলো মা!তুমি নাস্তা বানাবে কেনো।তোমাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছি শুনলে বড়বাবু খুব রাগ করবেন।তোমার শাশুড়ী চলে যাওয়ার পর থেকেতো আমি সব সামলাচ্ছি। খালা এতো কাজ করতে তোমারতো অনেক কষ্ট হয়,আজ থেকে রান্নার দায়িত্ব আমার। তুমি বরং একটু রেস্ট নাও এখন। দোয়া করি মা অনেক সুখী হও।তোমার শাশুড়ীও তোমার মতো ছিলো, যেন ঘরের প্রদীপ। ইস দিদি যদি আজ বেচে থাকতেন, কতো খুশি হতো।কথাটি বলতে বলতে আঁচল দিয়ে চোখ মুছলেন। তুমি এবার আমাকে একটু রান্না করার সুযোগ দিবে।তাহলে এই বান্দী দন্য হতো হে খালা। পাজি মেয়ে এই যে আমি যাচ্ছি তু মি রান্না করো।আর কিছু না পেলে আমাকে ডাকবে কিন্তু। ওকে মাই ডিয়ার খালা... বজ্জাত মেয়ে! ডাইনিং টেবিলে বসে পএিকায় চোখ বুলাচ্ছেন আবির সাজেব।আব্রাহাম রিয়াজ পাশের চেয়ারে বসে ফোন নিয়ে ব্যাস্ত। বাবা আকজ রান্না ঘর থেকে স্পেশাল গন্ধ ভেসে আসছে। আজ কি স্পেশাল কোনো মেনু আছে না কি? আমি কি করে বলবো।তোদের খালাই জানে,হয়তো বউমার জন্য স্পেশাল কিছু বানাচ্ছে। আচ্ছা রাজ আর বউমাকে দেখতে পাচ্ছিনা কেনো জানি! এখনো কি ঘুম থেকে উঠেনি। বাবা ভাইয়াকেতো বাগানে দেখলাম। আজ বৌভাত, তারই কাজ নিয়ে কথা বলছে।ভাবীর কথা বলতে পারলাম না।মনে হয় ঘরে আছে। মেয়েটাকে ডাল,হয়তো লজ্জায় নিচে খেতে আসতে পারছেনা। চলবে.....


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৪৪ জন


এ জাতীয় গল্প

→ প্রিয় তুমি ৭
→ প্রিয় তুমি পর্ব ৬
→ প্রিয় তুমি পর্ব ৫
→ প্রিয় তুমি পর্ব ৪
→ প্রিয় তুমি পর্ব ৩
→ প্রিয় তুমি পর্ব ২
→ ♥♥ প্রিয় তুমি ♥♥
→ প্রিয়া তুমি জেওনা???বাই_আব্দুল্লাহ আল মামুন

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now